হিলফ উল ফুজুল বা হলফ-উল-ফুযুল (আরবি: حلف الفضول) এক সংঘ বি...
হিলফ উল ফুজুল বা হলফ-উল-ফুযুল (আরবি: حلف الفضول) এক সংঘ বিশেষ। এই শব্দটির অর্থ হল কল্যাণের শপথ (হলফ অর্থ শপথ ও ফুযুল বা ফযিলত মানে মঙ্গল)।এটি যিলকদ মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংঘ আরব যুবক হযরত মুহাম্মাদ(সঃ) প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংঘ পবিত্র মক্কাশহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ইসলাম পুর্বযুগে এই সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের কাজ ছিল পীড়িতদের সাহায্যদান,দুঃস্থদের আশ্রয়দান ও অসহায়দের সহায়তা করা। এই সংগঠনের প্রভাবে মক্কায় অনেক বিপর্যয় থেকে রেহাই পায়। কাবাঘরের কালোপাথর পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময়ও এই সংঘ ভুমিকা নেয়।
ইতিহাসসম্পাদনা
কুরায়েশ জাতি নিজেদের মধ্যে নানা ঝামেলায় জড়িয়ে ছিল। এক কিনারা না হওয়া খুনের মামলায় যুদ্ধ অবধি বেধে যায়। অনেক কুরায়েশ নেতা সিরিয়া ও আবিসিনিয়ায় চলে যান, যেখানে তাঁরা শান্তি পাবেন। এইদব জায়গায় শক্ত আইন বল্বত থাকলেও আরবে ছিলনা।[১]
ফিজর যুদ্ধের পরিণতি হিসাবে কুরায়েশরা বুঝতে পারে, মক্কা শহরের অবনতি নিজেদের মধ্য ঝামেলার ফল।
ইয়েমেনের বণিকসম্পাদনা
ইয়েমেনের যাবিদ শহরের এক বণিক শাম এলাকার কিছু ব্যক্তিকে কিছু দ্রব্য বিক্রি করে প্রতারিত হয়ে কুরায়েশদের দ্বারস্থ হন।[১]
প্রতিষ্ঠাসভাসম্পাদনা
এই সব ঘটনার জেরে আব্দুল্লাহ ইবন জা'দানের ঘরে সভা বসে।[২] এর বক্তব্য ছিল
মুল্যবোধের ন্যায়কে সম্মান দেওয়া।গৃহবিবাদ বন্ধ করা।যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে বিরত থাকা।
প্রতিষ্ঠাসম্পাদনা
এই সভাকে সফল করার জন্য কিছু ব্যক্তি কাবা ঘরে মিলিত হন। কাবাঘরের কালো পাথরে জল ঢেলে তা পান করেন। এই চুক্তিকে কাবাঘরের ভেতরে রাখা ছিল।প্রত্যেকে মাথার উপর নিজের ডান হাত রাখেন।[১] তাঁরা বিশ্বাস করতেন ঈশ্বর তাঁদের সহায়।[৩] এই ব্যক্তিদের মধ্যে মুহাম্মাদ(সঃ) ছিলেন।[৪] আবু বকরকেও এই চুক্তির অন্যতম অংশগ্রহণকারী মনে করা হয়।[৪][৫]
View more on Facebook
- ← "" আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের ব্যাংকে লাখ লাখ টাক...
- যে সমস্ত সাহাবী বেশি হাদীস বর্ণনা করেছেন নিম্নে যে সমস্ত সাহ... →
Leave a Message